Exchange Your Money

Friday, 16 October 2015

হ্যাকিং লার্নিং :: ওয়েব হ্যাকিং – আসুন আরম্ভ করা যাক (একটু প্রস্তুতি [অধ্যায়-২২]

আমার আগের তিনটি টিউন ছিল ওয়েবসাইট হ্যাকিং বিষয়ক বেসিক প্রস্তুতির জন্য। এছাড়াও আগের সকল টিউনগুলো যদি আপনারা ভালোভাবে অনুশীলন করে থাকেন তাহলে আমি মনে করতে পারি আপনি মোটামুটি রকম হ্যাকার হয়ে গেছেন বা হ্যাকিং সম্পর্কে বেশ ভালো ধারনা লাভ করেছেন। হয়ত আপনি ইতিমধ্যেই নিজেকে একজন হ্যাকার ভাবা আরম্ভ করে দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে তো আপনার ভার্চুয়াল পরিবেশও একজন হ্যাকারের মত হওয়া উচত। এখন আমি আপনাদের জানাব কিভাবে আপনি আপনার ভার্চুয়াল পরিবেশ একজন হ্যাকারের মত গড়ে তুলবেন।
একজন ভালো হ্যাকার নিজের আসল পরিচয় লুকিয়ে রাখতেই পছন্দ করে। সেক্ষেত্রে সে তার নতুন ভার্চুয়াল পরিচয় তৈরী করে। এই পরিচয়টাকে হ্যাকার সবোর্চ্চ গুরুত্ব দেয় এবং এটাই তার হ্যাকার জীবনের পরিচয় বহন করে। প্রতিটি হ্যাকারের একটি ভার্চুয়াল নাম থাকে। সেসকল ভার্চুয়াল নাম হয় ইংরেজী অক্ষর, সিম্বল ও লিট ভাষা মিলিয়ে। যারা লিট ভাষা সম্পর্কে জানেন না তারা লিট সম্পর্কিত এই পোষ্টটি দেখতে পারেন। একটি ইউনিক নাম নির্ধারন করতে হবে যেটা এখনও কোন হ্যাকার দখল করে নেয়নি। মনে রাখবেন, অন্য কোন হ্যাকারের নাম নকল করে রাখবেন না বা ব্যবহার করবেন না, যদি সে জানতে পারে আপনি তার নাম ভাঙিয়ে চলছেন, তাহলে হয়ত আপনার ভার্চুয়াল লাইফ হ্যাক করতে তার ৫ সেকেন্ডও সময় লাগবে না। সুতরাং নাম নিবার্চনের ব্যাপারে সাবধান।
নাম যত ছোট করা যায় ততই ভালো। হতে পারে সেটা একটি নাম্বার ও তিনটি ইংরেজী অক্ষরের সমন্বয়ে গঠিত। আপনি ভালো কোন ইংরেজী শব্দও বেছে নিতে পারেন। অত:পর সেটাকে লিট করে ফেলতে পারেন। তবে আবারও মনে করিয়ে দিচ্ছি, আপনার পছন্দসই নামটি অবশ্যই গুগলিং করে নিবেন, যে এটা অন্য কোন হ্যাকারের নাম নয়তো?
লিট নাম জেনারেটর
লিট ট্রান্সলেটর
কোন অপারেটিং সিস্টেমটি আপনি ব্যবহার করবেন?
একটি ভালো অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা একজন হ্যাকারের জন্য অন্যতম প্রধান শর্ত। নিচের তিনটি থেকে আপনি যেকোন একটি বেছে নিতে পারেন।
•    Windows
•    Apple/Mac OS
•    Any OS on Linux Distribution
উপরোক্ত অপারেটিং সিস্টেমগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলে সেগুলোর উপর ক্লিক করুন। তাহলে উইকিপিডিয়ায় রিডাইরেক্ট হবেন। এখন আপনি হয়ত বলবেন, মেহেদী ভাই লিস্টতো দিলেন কিন্তু এগুলোর মধ্যে কোনটি ভালো আমি কিভাবে বুঝব বা নির্ধারন করব? বা কোনটি আমার জন্য ভালো হবে? আসলে প্রতিটি অপারেটিং সিস্টেমেই তাদের নিজস্ব স্বকিয়তা রয়েছে এবং হ্যাকার তার দ্বারা নিজের স্বার্থ উদ্ধার করতে আটকাবে না। তাই হ্যাকারের জন্য এদের যেকোন একটি ব্যবহার করলেই চলে। পেছনের কয়েক যুগ ধরে উইন্ডোজই হচ্ছে হ্যাকারসহ সাধারন মানুষের প্রথম পছন্দ। অন্যদিকে এ্যাপলের অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজের মত অত বেশি স্ট্যাবল নয়। অন্যদিকে আধুনিক হ্যাকারদের প্রথম পছন্দ হচ্ছে লিনাক্স ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেমগুলো। তন্মধ্যে ব্যাকট্র্যাক অন্যতম। আমি হ্যাকারদের উইন্ডোজ অথবা লিনাক্স ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করার ব্যাপারে রিকমেন্ড করব। লিনাক্স ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেমগুলো উইন্ডোজের পাশাপাশি ব্যবহার করা যায়। অপারেটিং সিস্টেম নিয়ে শেষ কথা হচ্ছে, আপনি একজন ইলিট হ্যাকার হিসাবে নিজেকে গড়ে তুলতে চাইলে অপারেটিং সিস্টেম হিসাবে লিনাক্স ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম ব্যাকট্র্যাক ব্যবহার করুন। ব্যকট্র্যাক ইনস্টল করার পদ্ধতি এখান থেকে দেখে নিতে পারেন।
হ্যাকার ডেস্কটপ তৈরী করা
আপনার কম্পিউটারটির ডেস্কটপ হবে হ্যাকিং সম্পর্কিত ওয়ালপেপার সমৃদ্ধ। ডেস্কটপে যত কম আইকন রাখা যায় ততই ভালো। আপনি গুগল ইমেজ থেকে হ্যাকিং সম্পর্কিত ওয়ালপেপার ডাউনলোড করে নিতে পারেন।
যে প্রোগ্রামগুলো আপনার থাকতেই হবে
.    নোটপ্যাড – সবচেয়ে ভালো টেক্সট এডিটর ও এইচটিএমএল এডিটর।
.    কিউকিউ প্লেয়ার – একটি মাল্টিমিডিয়া প্লেয়ার।
.    ট্রিলিয়ান – এটা হচ্ছে একের অধিক সোস্যাল নেটওয়ার্কিং এ্যাকাউন্ট বা চ্যাটিং বা মেসেঞ্জারে লগইন করার অন্যতম ইঞ্জিন।
.    টেলনেট – আপনি যে কম্পিউটারটি হ্যাক করতে চান সেই কম্পিউটারে যোগাযোগের একটি অন্যতম হ্যাকিং প্রোগ্রাম।
.    উইনরার – এক্সট্রাক্ট করার অনন্য সফটওয়্যার।
.    ফক্সিট রিডার – বেশ ভালো এবং হালকা পিডিএফ রিডার।
এছাড়াও হ্যাকারদের জন্য প্রয়োজনীয় টুলসের বিশাল সংগ্রহ এখান , এখানএখান থেকে নিয়ে নিতে পারেন। ধন্যবাদ।
সতর্কতা : টুলসগুলো নিজ দায়িত্বে ডাউনলোড ও ব্যবহার করবেন। আমি নিজে সেগুলো ডাউনলোড বা টেস্ট করিনি।

No comments:

Post a Comment

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...